সাইকোলজিস্ট জর্ডান ফোস্টার এর কিছু কথা

সাইকোলজিস্ট জর্ডান ফোস্টার এর কিছু কথা

তরুণদের মনের উপর পর্ণের ভয়ংকর প্রভাব নিয়ে সাইকোলজিস্ট জর্ডান ফোস্টার এর কিছু কথা:

“পর্ণোগ্রাফি আসক্তি এমন একটি সমস্যা যা কিনা তরুণ অস্ট্রেলিয়ানদের [এবং অন্যান্য দেশের তরুণদেরও ] মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আধুনিক সমাজ আজ প্রযুক্তিতে পরিপূর্ণ এক বিশ্বে পদার্পণ করেছে, একই সাথে প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে সেক্সচুয়াল কনটেন্ট এর বিশাল এক অন্ধকার জগত, যা মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ার চেয়ে অনেক সহজলভ্য।

সেক্স সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে অনেক বাচ্চার কাছেই পর্ণ প্রথম রেফারেন্স হিসেবে কাজ করছে। গবেষণায় দেখা যায়, গুগলে আপাতদৃষ্টিতে খারাপ না এমন কিছু সার্চ করলেও কিছু সেক্সচুয়াল ইমেজ মাঝে চলে আসে। অস্ট্রেলিয়ান বাচ্চারা গড়ে ১১ বছর বয়সে প্রথম পর্ণ খুঁজে পায়। বয়স ১৫ বছর হতে হতে শতকরা ১০০ জন ছেলের এক্সট্রিম পর্ণ পর্যন্ত দেখা হয়ে যায়। এমনকি অন্তরঙ্গ সম্পর্কগুলোর প্রতি আজ তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিচ্ছে পর্ণোগ্রাফি, স্বাভাবিক যৌন আচরণকে বিকৃতভাবে রূপান্তর করছে হিংস্রতা এবং অমানবিক যৌন আচরণ দ্বারা। পর্ণের অস্বাভাবিক দেহগঠনকে ঘিরে তৈরি হয় সব অবাস্তব চিন্তা যা কাছের মানুষগুলোকে ক্রমেই দূরে ঠেলে দেয়।”

COMMENTS

WORDPRESS: 0