আজ হিরোইন-কোকেনের মতো একটা ড্রাগ আমাদের ইয়াং জেনারেশনকে ‘Dehumanize’ বা মনুষ্যোচিত বৈশিষ্ট্য থেকে ভ্রষ্ট করে ফেলছে। এই ড্রাগ হাই স্পিড ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুষ হচ্ছে ব্রেইনে। ফিজিক্যালি,সাইকোলজিক্যালি, মোরালি সব দিক থেকে ধ্বংস করে ফেলছে আমাদের ভাই-বোনদেরকে। অথচ সামাজিক, পারিবারিক বা দেশীয় পর্যায়ে এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে কথা বলা আমাদের দেশে একটা ট্যাবু (taboo)।
এই ড্রাগটি হচ্ছে পর্নোগ্রাফি। আমাদের এর হরিবল ইফেক্ট নিয়ে কথা বলা উচিত। আপনি হয়ত বলতে পারেন, আমি একা একা দেখছি, কার ক্ষতি তো করছিনা। মজার ব্যাপার হচ্ছে অন্য ড্রাগ ইউজাররাও একই কথা বলে। তাদের কাছে it’s not a big deal. কিন্তু নিজের ক্ষতির চেয়ে বড় ক্ষতি আর কি হতে পারে।
পর্নোগ্রাফি আমাদের ব্রেইন ডেমেজ করে। যখন কেউ পর্ন দেখেন তখন তার ব্রেইনে ডোপামিন নামক হরমোনের বন্যা বয়ে যায়। হিরোইন-কোকেনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই হয়, যদিও এক একটা ড্রাগ বাহ্যিক ভাবে দেখতে বা টেস্ট এর ক্ষেত্রে এক এক রকম। এই হরমোন বার বার ফিরিয়ে আনে পর্নের দিকে। আর আপনি দেখতে চান আগের চেয়েও এক্সট্রিম বা ভিন্ন কিছু।
আপনার এই বার বার ফিরে আসা থেকেই আপনি বুঝতে পারেন যে আপনি অ্যাডিক্টেড। আর এই অ্যাডিকশন আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি প্রডাক্টিভ কিছু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে বাজে বিহেভ করেন, মেয়েদেরকে অবজেক্ট হিসেবে দেখেন, আস্তে আস্তে প্রতিটা ভালবাসার মানুষই আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।
অ্যাডিকশন না মানে আপনি কে,
না মানে আপনার বয়স,
না ভাবে আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে…
এটা শুধু সন্তুষ্ট হতে চায়…
তবে কখনো হয়না।
এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন- “আমি অ্যাডিক্টেড হতে চাইনা।” আমরাও চাইনা আপনি অ্যাডিক্টেড হন। তাই আমাদের এই উদ্যোগ।
আপাতত আমাদের সাইটে থাকছে-
– পর্নের সকিং স্ট্যাটিসটিক্স
– পর্ন কেন অ্যাডিকটিভ ?
– পর্ন কিভাবে ব্রেইনকে ইফেক্ট করে ?
– পর্ন আসক্তি এবং ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের হয়ে আসা মানুষদের গল্প
– পর্ন ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব চিত্র এবং
– পর্ন আসক্তি থেকে মুক্তির বিভিন্ন টিপস(সিরিজ আকারে) ছাড়াও অন্যান্য ক্যাটেগরি নিয়ে আর্টিকেল, পিকচার রিমাইন্ডার, ইনফোগ্রাফিক এবং ভিডিও।
আসক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সবার অবস্থা একরকম না। কেউ খুব এক্সট্রিমলি আসক্ত, আবার কেউ মডারেট লেভেলে আসক্ত। সবার ক্ষেত্রে এক ধরণের টিপস কাজে লাগবে না। তাছাড়া কে কোন লেভেলে আসক্ত আছে তাও আমরা জানি না। তবে আমাদের আর্টিকেলগুলো থাকবে সবার জন্য, যা থেকে সবাই উপকৃত হবে, ইনশা আল্লাহ্। এক্ষেত্রে শুধু এই আসক্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার মাধ্যমেই অনেকে এতোটা সচেতন হয়ে যাবে যা তাদের আসক্তি থেকে সহজেই বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। আর যাদের ক্ষেত্রে শুধু জ্ঞান অর্জনে কাজ হবে না, তাদের অন্য কার (সাইক্রিয়াটিস্ট বা লাইফ কোচ) সাহায্য দরকার হতে পারে। সেই সাপোর্টও আমরা দিব। এক্ষেত্রে যারা ইন্টারেস্টেড তারা আমাদের ফেসবুক পেইজে (www.facebook.com/fightagainstdehumanization/) মেসেজ করবেন।
হয়তো আপনি অ্যাডিকটেড নন। তবে আপনার পরিচিত যে কেউই অ্যাডিকটেড হতে পারে। তাই আমাদের আর্টিকেল আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং সচেতনতা গড়ে তুলুন।
COMMENTS