নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,- অনেক মেয়েকে জোরপূর্বক, চেতনা নাশক ব্যবহার করে নানাভাবে এই অন্ধকার জগতে নিয়ে আসা হয়।
পর্ন সম্পর্কে প্রচলিত কিছু কথা আছে। যা শুনলে মনে হয় পর্ন এমন একটা জিনিস যা মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত। ‘মেয়েরা এ কাজ পছন্দ করে’, ‘সে এমন কিছুই চেয়েছে’, ‘এটা তার নিজের সিদ্ধান্ত’ এ ধরণের একরোখা, আত্মকেন্দ্রিক কথার মানে কি তা আমি এখন বুঝি।
কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে এটা সত্য হতে পারে, তবে অনেক মেয়েকেই আমাদের পর্নগ্রাফাররা এ ধরনের কথায় (পর্ন তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত) সম্মতি দেওয়ার জন্য বাধ্য করে, এবং তারাও বেঁচে থাকার জন্য এতে সম্মতি জানায়।
জানেন! আমাকে তারা প্রতিটা ফিল্ম সুট করার আগে ড্রাগ দিতো। কখনো অ্যামনিসিয়্যাক(amnesiac), কখনো কোনো প্যারালাইজিং ড্রাগ, কখনো পেইন-ব্লকার অথবা কখনো এ সবগুলো মিশিয়ে কিছু একটা|
সত্যকে ঢেকে রাখার জন্য আমরা মিথ্যা বলি। আসলে বলার মতো আমাদের কোনো ভাষা নেই, কারণ আমাদের যে কষ্ট সেটা এখানকার ভেতরটা না দেখলে কেউ বুঝবেনা। তাছাড়া আমাদের সাথে যা হয়েছে তা সত্যি অবর্ণনীয়।
আমরা থাকি অনাচার ও অবহেলায়। আমি আপনাদের বলতে চাই, আমাদের মধ্যে কেউ অতিরিক্ত ড্রাগ অ্যাডিক্টেড, কেউ পাগলের মতো হয়ে যায়, কেউ অনেক একাকীত্বে ভোগে এবং এর মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে|
অনুবাদঃ Minhaz Mohammad
COMMENTS