বদভ্যাস ছাড়া

বদভ্যাস ছাড়া

পা নাড়ানো। আমাদের অনেকেরই এই বদভ্যাস আছে। নাফিসেরও একই অবস্থা। অফিসে যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলে, সে পা নাড়ায়। তার স্ত্রী যখন তার সাথে কোনো সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা বলে, তখনও সে পা নাড়ায়। যেখানে গিয়েই স্থির হয়ে বসে, সেখানেই সে পা নাড়ায়। তার মন স্থির হয়ে যায়, কিন্তু পা স্থির হয় না।

একসময় সে বুঝতে পারে, এটা তার একটা বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এর ফলে তার মনোযোগ কমে যাচ্ছে। অফিসে বসের ঝাড়ি খেতে হয়। বাসায় স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয়। ছোট একটা ব্যাপার কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করছে নানা ধরণের।

তাই নাফিস সিদ্ধান্ত নিল সে পা নাড়ানো বন্ধ করবে। প্রথমেই সে ভাবতে লাগল কখন এবং কোন পরিস্থিতিতে সে পা নাড়ায়। নোট করে রাখল- “কেউ আমাকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় আমি মনোযোগ দিয়ে শুনব, পা নাড়াবো না। একা বসে কিছু চিন্তা করার সময় পা নাড়াবো না।” এভাবে অন্যান্য সব পরিস্থিতির কথাও সে নোট করল। 

এর পর থেকে যতদিনই পা নাড়ানোর মত পরিস্থিতি আসত, তার চোখের সামনে ডায়রিতে লিখে রাখা নোটগুলো ভেসে উঠত। পা নড়লে, মূহুর্তেই বন্ধ হয়ে যেত। ছোট এই পদক্ষেপটাই নাফিসকে ধীরে ধীরে একটা বদভ্যাস ছাড়তে সাহায্য করেছিল।

আসক্তি থেকে মুক্তির ক্ষেত্রেও প্রথম পদক্ষেপটা এমনই। আপনাকে সমস্যার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। প্রথমত কাজটাকে যাচাই করতে হবে। আসক্তিকে আসক্তি বলে চিনতে হবে। দেখুন, ওপরে নাফিসের যে গল্প আপনাদের বললাম এটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। কিন্তু সে সমস্যাটা বুঝতে পেরেছে। অন্তর থেকে বিশ্বাস করেছে যে এ বদভ্যাস তাকে ছাড়তে হবে। তাই সে সমস্যার গভীরে গিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়েছে।

আর যারা পর্ন আসক্তিকে ক্ষতিকরই ভাবে না তাদের জন্যই আমাদের এই সচেতনতামূলক পোষ্টগুলো দেওয়া। কারণ, আজ আপনি পর্ন দেখছেন। নিয়মিত মাস্টারবেট করছেন। প্রাথমিক অবস্থায় এর কোনো সমস্যা আপনার চোখে পড়ছে না। কিন্তু আর কয়েক বছর পর আপনি ঠিকই টের পাবেন। বিয়ে করলে আরও ভালোভাবে টের পাবেন। তাই আজই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিন। পা নাড়ানোর মতো বদভ্যাস ছাড়া দিয়েই শুরু করুন। আসক্তি যদি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে হয় তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। নিজের অবস্থা বুঝতে না পারলে, আমাদের মেসেজ করুন। আমরা আপনার পাশে থাকব। ইনশা আল্লাহ্‌।

COMMENTS

WORDPRESS: 0