ট্রিগার…

ট্রিগার…

ট্রিগারগুলো খুঁজে বের করুন এবং এড়িয়ে চলুন।

পুনরায় পর্ন দেখে ফেললে অর্থাৎ রিল্যাপস্‌ হয়ে গেলে এর অনুশোচনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ হল ভাবা। কোন কাজ বা মানসিক অবস্থা আপনাকে রিল্যাপস্‌ করতে বাধ্য করেছে? যখন ট্রিগারগুলো ধরতে পারবেন, নিশ্চিত করবেন সেই কাজগুলো যেন ভবিষ্যতে না ঘটে। ধরুন, আপনি খুব মুভি দেখেন। একদিন কোন মুভি দেখার সময় হঠাৎ এমন এক সফটকোর দৃশ্য আপনার চোখে পড়ল যে আপনি আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না, সাথে সাথে কোন পর্ন সাইটে ঢুকে পর্ন দেখা শুরু করলেন। আপনার জন্য এক্ষেত্রে অশ্লীল দৃশ্যযুক্ত মুভি, ভিডিও বা ইমেজ পর্ণের ট্রিগার হিসেবে কাজ করছে। তাই এ বিষয়ে আপনাকে খুব সাবধান হতে হবে। এছাড়াও অন্য কোন জিনিসগুলো আপনাকে পর্ন দেখতে বাধ্য করে যা করে তা খুঁজে বের করুন এবং ভবিষ্যতে সেগুলো থেকে বিরত থাকুন।

একইভাবে ভাবুন, সাধারণত পর্ন দেখার আগে কোন চিন্তাগুলো আপনার জন্য ট্রিগার হিসেবে কাজ করে, কেন আপনি খানিকের আত্মতৃপ্তি পেতে পর্নের সাইকেলে ঘুরপাক খেতে থাকেন? কারণ, আপনার ‘পর্নে অভ্যস্ত ব্রেইন’ বার বার আপনাকে পর্নের কথা মনে করাতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি রিল্যাপস্‌ করেন। আসক্তদের মাথায় অশুভ চিন্তা আসবেই। তাই বলে প্রবৃত্তির দাশ হাওয়া যাবে না। একে প্রতিহত করতে নিজের সর্বক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।

আসক্তদের মাথায় ঘুরপাক খাওয়া কিছু চিন্তা:

  • আমি বোধ হয় পারব না।
  • আজই শেষ বার, এর পর থেকে আমি ঠিক হয়ে যাব।
  • আমি কি আসলেই আসক্ত, পর্ন তো এখন সবার কাছেই ডাল-ভাত হয়ে গেছে?
  • একটু হালকা খোলামেলা দৃশ্য দেখলে কিছু হবে না।
  • আর একবার করব, এরপর শেষ।

এ ধরণের প্রতিশ্রুতি থেকে আরও গভীর আসক্তি ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না। এতে অবস্থা আরও জটিল হতে পারে। এখন উপরের চিন্তাগুলোর সাথে আপনার চিন্তা মিলে কিনা দেখুন। এছাড়াও অন্য চিন্তা মাথায় আসতে পারে। মনে করে সব লিখে রাখুন, যাতে কখনও এমন চিন্তা মাথায় আসলে তা আপনি পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারেন।

অনুবাদঃ #teamFAD

COMMENTS

WORDPRESS: 0