স্ক্রীনের বিকৃত সৌন্দর্য

স্ক্রীনের বিকৃত সৌন্দর্য

ডেভিড এক্সট্রিমলি পর্ন আসক্ত। তার এই আসক্তিকে ঘিরেই বাসা বেঁধেছে আরও অনেক পারিবারিক সমস্যা। দিনের পর দিন তার স্ত্রী সারিনা তার জন্য সেজেগুজে বসে থাকে। কিন্তু ডেভিড তাকে আর আগের মত সুন্দর বলে না। কি হয়েছে ওর? ও কি অন্য কোন মহিলার প্রেমে পড়েছে? না, এমন তো হবার কথা না, সময় মতই সে প্রতিদিন অফিস শেষে বাসায় ফিরে। এমন নানা প্রশ্ন সারাক্ষণ ঘিরে রাখে তাকে। ইতিমধ্যে ডেভিডের আচরণেও ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে সারিনা। অল্পতেই রেগে যায় সে, তার যৌন চাহিদা যখন জাগ্রত হয় তখন অবস্থা না থাকলেও সে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে চায়।

একদিন সারিনা তার স্বামীকে পর্ন দেখা অবস্থায় দেখে ফেলল। কিন্তু তাকে বুঝতে দেয়নি যে সে দেখেছে। ডেভিড অফিসে যাওয়ার পর তার ল্যাপটপ খুলে বসল সারিনা। অবিষ্কার করল শত শত জিবি পর্নের কালেকশন। এক্সট্রিম সব পর্নে ভরা সেই ল্যাপটপ।
সারিনার মাথা ঘুরছে। এই আসক্তিই তাহলে ওকে এতোটা পরিবর্তন করে ফেলেছে। এখন সে বুঝতে পারছে কেন ডেভিড রাতের বেলা হঠাৎ বিছানা ছেড়ে অন্য ঘরে চলে যেত, কেন বাথরুমে অনেক সময় থাকত, সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেল। চোখ জলে ভিজে উঠল তার। চিৎকার করে কান্না শুরু করল।

কিছুদিন বুকের মধ্যে পাথর বেঁধে রাখার পর সারিনা সিদ্ধান্ত নিলো ব্যাপারটা নিয়ে ডেভিডের সাথে কথা বলার। প্রতিদিনের মতো সারিনার কাছ থেকে বিদায় না নিয়ে ডেভিড অফিসে চলে যাচ্ছিল। এমন সময় সারিনা বলে উঠল, তোমার স্ক্রিনের সেই মেয়েদের সাথে আমি পারব না, এ বলে অঝরে কাঁদতে লাগল সে। কিছুই বলার থাকল না ডেভিডের। নিঃশব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।

ডেভিড নিজেও জানে যে, পর্ন একটা ফ্যান্টাসি। বাস্তবতার সাথে এর মিল খুব কমই আছে। এমনকি যে মেয়েগুলোকে দেখে সে যৌন চাহিদা মেটাচ্ছে, তারাই স্বাভাবিক বেশে সামনে আসলে, তেমন ভাল লাগবে না তার। কিন্তু যখন সে আরামে পর্ন দেখছিল তখন ব্রেইন তার যৌন অনুভূতিকে জুড়ে দিয়েছে স্ক্রিনের বিকৃত সেই সৌন্দর্যের সাথে। সময়ের সাথে দৃঢ় হয়েছে সেই বন্ধন, যা স্বাভাবিক যৌন ক্রিয়ার অনুভূতিকেও হার মানিয়ে গেছে। তাই এখন সেই সুন্দর স্ত্রীকে আর সুন্দর মনে হয় না। পর্নের বিকৃত সব চিন্তা আর অনুভূতির রিওয়ার্ড প্যাথওয়ে এর মাঝে হারিয়ে গেছে তাকে ভালোবাসার সেই অনুভূতি।

COMMENTS

WORDPRESS: 0