সেক্স ট্রাফিকিং

সেক্স ট্রাফিকিং

স্ক্রিনে দেখা পর্নের সাথে বাস্তবতার অবিশ্বাস্য পার্থক্য রয়েছে। নীল পর্দার ছবিগুলোর পেছনে লুকিয়ে আছে ড্রাগ অ্যাডিকশন, শারীরিক নির্যাতন, অস্বাভাবিক যৌন ক্রিয়ার মতো আরও অনেক ন্যক্কারজনক কাজ।

প্রসটিটিউশন এবং সেক্স-ট্রাফিকিং না থাকলে আজ পর্নের কোনো অস্তিত্বই থাকতো না। ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লোইটেড চিলড্রেন এর প্রেসিডেন্ট আর্নি এলেন বলেন, প্রতি বছর অন্তত ১০০,০০০ অপ্রাপ্তবয়স্ক অ্যামেরিকানদের কমার্শিয়াল সেক্সচুয়াল এক্সপ্লোইটেশন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

সেক্স ট্রাফিকিং হচ্ছে মডার্ন দাসপ্রথা, যা ইউনাইটেড স্টেট সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও বিরাজ করছে। শারীরিক নির্যাতন, হুমকি এবং বিভিন্ন ধরনের মিথ্যার মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা ব্যবসা করার লক্ষ্যে যৌন ক্রিয়া করতে বাধ্য করাই হচ্ছে সেক্স ট্রাফিকিং। যেমনঃ অ্যামেরিকায় রাতের বেলা রাস্তা ঘাটে একা কোন মেয়েকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে চলাফেরা করতে দেখলেই পিম্প বা দালালরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। সুযোগ পেলে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। অনাগ্রহী মেয়েদের ক্ষেত্রে রেইপ করার ভিডিওর মাধ্যমে ব্লেকমেইল করা হয়। এদের বানানো পর্ন দেখেই আমরা মজা নিচ্ছি। হয়তো যে মেয়েটিকে আপনি দেখছেন তাকে প্রতিটা কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

আর্নি এলেন এর মতে অ্যামেরিকায় এমন কোন সিটি নেই যেখানে সেক্স ট্রাফিকিং হয়না। আর এরাই কিনা আমাদের মুসলিমদের নারী স্বাধীনতা শেখাতে আসে। আফসোস।

কিভাবে আমরা এমন জঘন্য একটা কাজকে সাপোর্ট করি। আমাদের ইয়াং জেনারেশনের অনেক সুপারস্টাররা আজ গর্বের সাথে স্বীকার করে তারা পর্ন দেখে। আমাদের ছোট ভাইবোনেরা তাদের দ্বারা প্ররোচিত হচ্ছে। তাই সময় থাকতে আমাদের উচিত সবাইকে এই সত্যগুলো জানানো।

নীল পর্দার পেছনের সাদাকালো জগতটাকে দেখা।

COMMENTS

WORDPRESS: 0